টিসল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে শুরু হচ্ছে “ভাষা ও শিক্ষা” শীর্ষক নতুন ওয়েবিনার সিরিজ।
এ সিরিজের উদ্বোধনী সেমিনারের শিরোনামঃ শিক্ষার আধুনিকায়নে মাতৃভাষার ভূমিকা
সময়ঃ বিকেল ৪ঃ৩০ টা,
তারিখঃ ২১শে মার্চ, মঙ্গলবার, ২০২৩
স্থানঃ সেমিনার রুম, মেইন ক্যাম্পাস, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ৭৭ সাতমসজিদ রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা- ১২০৫
উচ্চশিক্ষাদানের মাধ্যম কী হবে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। শিক্ষার লক্ষ্য যদি হয় জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে মানুষের চিন্তাশক্তির বিকাশ, তার অন্তর্দৃষ্টি সৃষ্টি এবং মননের বিকাশ করা; তার কর্মদক্ষতা তৈরী করে তাকে একজন মানবিক সচেতন আত্মনির্ভরশীল মানুষ বানানো – তাহলে যে ভাষায় মানুষ চিন্তা করে, যে ভাষায় প্রতিটি শব্দ তার মানসপটে তৈরি থাকে, সে ভাষাকেই কি তার জ্ঞানচর্চার প্রধান মাধ্যম হিসেবে গণ্য করাটা স্বাভাবিক? নাকি আসলেই এই বিশ্বায়নের সময়ে, এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে ইংরেজী ভাষায় শিক্ষার উপযোগিতা মাতৃভাষায় শিক্ষার উপকারিতার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বিদেশি ভাষা মাধ্যমে শিক্ষার বিষয় আত্মস্থ করা অনেক কঠিন হয় শিক্ষার্থীদের জন্য। আবার মাতৃভাষায় শিক্ষিত হওয়া একজন মানুষ বিশ্বব্যাপী তার কাজের পরিধি বাড়াতে গিয়ে ভাষাগত অনেক সমস্যার সম্মুখীনও হতে পারে। ইউনেসকো মনে করে, শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার ব্যবহার শিক্ষার গুণগত মানের জন্য অপরিহার্য। এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞানী ও ভাষাবিজ্ঞানীদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তাহলে উচ্চশিক্ষার মাধ্যম নির্ধারণ হবে কোন কোন বিষয়কে বিবেচনা করে? মাতৃভাষায় শিক্ষার এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তাহলে কেন মাতৃভাষা উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসাবে কার্যত গৃহিত হতে পারছে না? এর মূল কারন কি সুধী সমাজের মধ্যে মাতৃভাষা নিয়ে হীনমন্যতা, নাকি ইংরেজি ভাষার প্রতি মোহ? দেশে এত জ্ঞানীগুনীজনদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও এত বছরে বাংলায় উচ্চশিক্ষার জন্য দরকারি জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থাদি রচিত হয়নি কেন? মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার সীমাবদ্ধতাগুলো কি? সেগুলো উত্তরণের সমাধানই বা কি?
এসব আলোচনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে টিসল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে শুরু হতে যাওয়া “ভাষা ও শিক্ষা” শীর্ষক নতুন আলোচনা সিরিজের আমাদের প্রথম আয়োজন ‘শিক্ষার আধুনিকায়নে মাতৃভাষার ভূমিকা’। এ বিষয়ে কথা বলতে উপস্থিত থাকবেন :
আলোচকবৃন্দঃ
১। ড. শিশির ভট্টাচার্য্য
অধ্যাপক, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২। ড. মোহাম্মদ আজম
অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩। বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
সহকারী অধ্যাপক,
ইংরেজি বিভাগ
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ।
সভাপতি:
ড. মিঞা মো: নওশাদ কবীর
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি ভাষা
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আয়োজনেঃ
ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ স্টাডিজ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
এবং টিসল সোসাইটি অব বাংলাদেশ